দেশবরেণ্য সংগীতশিল্পী ও প্লেব্যাক সম্রাট এন্ড্রু কিশোর আর নেই। আজ সোমবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যা ৬ টা ৫৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। এন্ড্রু কিশোরের ভগ্নীপতি ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
নন-হজকিন লিম্ফোমা নামক ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে দীর্ঘদিন সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ৮ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত কিংবদন্তি এই গায়ক। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা করেও ক্যান্সার নির্মুল হয়নি প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী এন্ড্রু কিশোরের। চিকিৎসক হাল ছেড়ে দেওয়ায় ক্যান্সার নিয়েই ৯ মাস পর গত ১১ জুন দেশে ফেরেন তিনি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি রাজশাহীতে ছিলেন।
রাজশাহী নগরীর মহিষবাথান এলাকায় বোন ডা. শিখা বিশ্বাস ও ভগ্নীপতি ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাসের বাড়িতেই ছিলেন এন্ড্রু কিশোর। ডা. প্যাটরিক বিপুল বিশ্বাস জানান, গতকাল রবিবার (৫ জুলাই) এন্ড্রু কিশোরের শারীরিক অবস্থা কিছুটা খারাপ হয়। আজ সোমবার আরও অবনতি হলে বিকাল ৪টার দিকে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়।
১৯৭৭ সালে এন্ড্রু কিশোর আলম খানের সুরে ‘মেইল ট্রেন’ চলচ্চিত্রে ‘অচিনপুরের রাজকুমারী নেই যে তার কেউ’ গানের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক যাত্রা শুরু করেন। তাঁর জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প’, ‘হায়রে মানুষ রঙিন ফানুস’, ‘ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে’, ‘আমার সারা দেহ খেয়ো গো মাটি’, ‘আমার বুকের মধ্যখানে’, ‘আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন শুনেছিলাম গান’, ‘ভেঙেছে পিঞ্জর মেলেছে ডানা’, ‘সবাই তো ভালোবাসা চায়’, ‘পড়ে না চোখের পলক’, ‘পদ্মপাতার পানি’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘আমি চিরকাল প্রেমের কাঙ্গাল’ প্রভৃতি।